নিজস্ব প্রতিবেদক – কাল বৈশাখির ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি শিলা বৃষ্টিতে উখিয়ায় প্রায় ৫ শ হেক্টর বোরো পাকা ধান নষ্ট হয়েছে বলে জানান কৃষকরা।বোরো আবাদের শুরু থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় এবার বোরোর বাম্পার ফলনের আশা করছিল কৃষকরা। ধান কাটার সময়ে কয়েকদিনের বর্ষণে কৃষকের আশা বিলীন হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম জানান, আনুমানিক ২৫ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, পুরোপুরি পাকা ধান নষ্ট হবে না।
সরেজমিন কাশিয়ার বিল, মাছকারিয়া, মধুরছড়া, ফলিয়াপাড়া, দোছরী, পালংখালীর বটতলী, আনজুমান পাড়া, রমতের বিল, ধামনখালী, রত্নাপালং ইউনিয়নের গয়ালমারা, থিমছড়ি, খেওয়াছড়ি, রুহুল্লার ডেবা, পশ্চিম রত্না, পূর্ব রত্না, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের বড়বিল, পাতাবাড়ি, পাগলির বিল, হাতিরঘোনা এলাকা ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ধান পেকে যাওয়ার সময় বৃষ্টি হওয়ার কারণে থোর ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে গেছে। কিছু কিছু এলাকায় ধান গাছ পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার কারণে অধিকাংশ ধানে পচন ধরেছে।
রাজাপালং বটতলী গ্রামের বড়চাষি সিরাজুল হক সওদাগর জানান, এবার ২০ কানি জমিতে বোরো চাষ করেছেন। বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে তার প্রায় ১০ কানি জমির ধান একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে।
মাছকারিয়া গ্রামের বড় চাষি শামশুল আলম সওদাগর জানান, তার প্রায় ১২ কানি জমির পাকা ধান এখনো পানির নিচে রয়েছে।
সিকদার বিল জামতলী গ্রামের মাস্টার জানে আলম জানান, তার ৫ কানি বোরো চাষাবাদে কাছি বসাতে হবে না।
অসংখ্য ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বর্গাচাষি বোরো ধান নিয়ে হতাশার কথা জানান।
পালংখালী ইউনিয়নের তাজনিমারখোলা গ্রামের কৃষক নুরুল আবছার জানান, এখানে অধিকাংশ জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার কারণে ধানে পচন ধরেছে।
স’ানীয় চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, তেলখোলা ও মোছার খোলা এলাকার গরিব কৃষকেরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে কৃষি অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিনের মাঝারি ও ভারী বর্ষণে পাকা ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার মত আশংকা নেই। তবে ধান মাটিতে নুয়ে পড়ার কারণে আংশিক ক্ষতি হতে পারে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-